ঈদের ছুটিতে প্রাণ ফিরে পেলো ‘পারকি সমুদ্র সৈকত’ খবর আনোয়ারা খবর আনোয়ারা প্রকাশিত: ১২:৫৭ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৬, ২০২৫ পবিত্র ঈদুল ফিতর শেষ হলেও কাটেনি ঈদের আমেজ। লম্বা ছুটিতে মুক্ত পরিবেশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন লাখো মানুষ। চট্টগ্রামের অদূরে আনোয়ারা উপজেলায় অবস্থিত দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের ভীড় চোখে পড়ার মতো। প্রতিদিন লাখো পর্যটকের সমাগম ঘটছে এই সমুদ্র সৈকতে। সেখানে পা ফেলার জো নেই। সমুদ্র সৈকতের পাশে সাগরের কোল ঘেষে গড়ে ওঠা বেরি বাঁধের উপর রেস্টুরেন্টগুলোতেও পর্যটকদের উপস্থিতি ছিলো সরগরম। ঈদের লম্বা ছুটিতে বিনোদনপিয়াসী মানুষের ভিড়, জটলা। ঈদ উৎসবে মাতোয়ারা হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ ঈদের ছুটি শেষে আজ এবং আগামীকাল দুই দিনের সরকারি ছুটি। সব মিলিয়ে টানা নয় দিনের লম্বা ছুটিতে মানুষ পরিবার-পরিজনের সদস্যদের নিয়ে ছুটছেন বিভিন্ন পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্রে। এর ফলে জমজমাট হয়ে উঠেছে পর্যটন ব্যবসা। তবে সব ঠিকঠাক থাকলেও আবাসন, লাইটিং না থাকার৷ কারণে এখানে রাত্রিযাপন করা থেকে বিরত থাকেন পর্যটকরা। দৃষ্টিনন্দন এ সৈকতে এখন সবসময় পর্যটকের ভিড় লেগেই থাকে। ঈদের দিন থেকে সেখানে প্রতিদিন লাখো মানুষের ভিড় জমছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পরিবার-পরিজনের সদস্যদের নিয়ে মানুষ সময় কাটাতে ছুটছে সেখানে। গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে ছিল পর্যটকের ভিড়। পানিতে নেমে দাফাদাফি কিংবা স্পিডবোটে ভ্রমণ দলবেঁধে পানিতে নেমে ঢেউয়ের সাথে নাচানাচি সৈকতে অন্যরকম উৎসবের আবহ ছড়িয়ে পড়ে। কেউ গোসল করছেন আবার কেউ পানিতে পা ডুবিয়ে বসে আছেন। কেউ আবার ঘোড়ায় চড়ছেন তুলছেন ছবি। এ যেন অন্যরকম এক উৎসব। সৈকতে পর্যটকের ভিড় গভীর রাত পর্যন্ত লেগে থাকছে। পর্যটন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দীর্ঘ প্রায় দেড় দশক পর ফ্যাসিবাদমুক্ত পরিবেশে এবারের ঈদ উদযাপিত হচ্ছে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতিও অতীতের যেকোন সময়ের তুলনায় ভালো। আবহাওয়াও ঘুরে বেড়ানোর মতো অনুক‚লে। সব মিলিয়ে প্রাণের উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছে সাধারণ মানুষ। পর্যটকদের উল্লাসে মুখরিত হয়েছে এই সমুদ্র সৈকত। আনোয়ারা উপজেলাসহ আশপাশের বিভিন্ন উপজেলা থেকে বাইক, সিএনজি অটোরিকশা, প্রাইভেট কারসহ নানা যানবাহনে করে আসছেন সমুদ্রপ্রেমীরা । অনেকে মাইক, সাউন্ডবক্স নিয়ে ট্রাকে করে নেচে গেয়ে আসতে। কেউ আসছেন পরিবার নিয়ে আবার কেউবা বন্ধুদের সঙ্গে। কেউ বাইক নিয়ে ছুটছেন, কেউ ঘোড়া দৌড়াচ্ছেন, কেউ সাগরের সৌন্দর্য উপভোগ করছেন ঘুরে ঘুরে। অনেকে বন্ধুদের নিয়ে মেতেছেন ফুটবল খেলায়। পতেঙ্গা থেকে আসা জাবেদুল ইসলাম বলেন, ঘুরতে এসেছি এখানে এসে অনেক ভালো লাগছে। কিন্তু সৈকত এলাকা আরেকটু পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হলে হয়তো অনেকটা ভালো দেখা যেত। হালিশহর থেকে আসা মিম আকতার বলেন, ঈদ উপলক্ষে অফিসে লম্বা ছুটি পেয়েছি তাই পরিবার নিয়ে পারকি সমুদ্র সৈকত ও ফুলতলি সৈকত ঘুরতে চলে এলাম। অনেক ভালো লাগলো, যদিও সন্ধ্যা হলে এখান থেকে চলে যেতে হবে। সন্ধ্যার পর সৈকতে আলো না থাকায় এলাকা অন্ধকার হয়ে যায়। আলোর ব্যবস্থা থাকলে পুরোটাই কক্সবাজারের মতো লাগতো। যদিও এটা আমরা দ্বিতীয় কক্সবাজার হিসেবে ধারণা করি। আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার বলেন, পর্যটকদের সুবিধার্থে কঠোর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পর্যটকদের নিরাপত্তায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি এবং পরেও কাজ করে যাবো। SHARES বিনোদন বিষয়: